***ভালবাসা যদি আমায় কষ্ট দেয় তাহলে যা করবো ****
-ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক । ভালোলাগা ও আবেগের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। আর যে মন থেকে এ ভালোবাসার অনুভূতিতে জড়িয়ে পড়ে তার কাছে এ সম্পর্ক ভাঙার কষ্টটা অনেক বেশিই হয়। তার জন্য পৃথিবীটা থমকে দাঁড়ায় বলে মনে হয়।
কিন্তু এভাবে তো চলা সম্ভব নয়। যতো দ্রুত সম্ভব ভালোবাসার বিরহ কাটিয়ে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই উচিত।
যদিও অতীত কখনোই ভোলার নয় তবুও মনে করা থেকে কিন্তু বিরত থাকা যায়। আর তা মনে করা থেকে বিরত থাকার জন্য যা যা করতে পারেন তা হল-
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন: নিজেকে ব্যস্ত রাখুন পড়াশোনায়, গান-বাজনায় অথবা বন্ধু বা ভাই-বোনদের সঙ্গে আড্ডায় বা অফিসের কাজে। দেখবেন ধীরে ধীরে ভালো লাগছে।
ঘুরে আসুন দূরে কোথাও: দূরে কথাও থেকে ঘুরে আসুন। মিশুন অপরিচিত মানুষগুলোর সঙ্গে, তাদের জীবনের গল্প শুনুন। নিজের অবস্থানটাকে তুলনা করুন সবার সঙ্গে। নিজেকে খুঁজে পাবেন।
বন্ধুদের সময় দিন: বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যতোটা সম্ভব বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখবেন, যে বন্ধুটি আপনাকে খোঁচামূলক কথা শোনাবে এবং অযথা কথা বলবে তার থকে দূরে থাকবেন এই সময়। যে আপনার আসল বন্ধু হবে তিনি আপনাকে সময় দেবেন এবং আপনার সঙ্গে সে ধরনেরই ব্যবহার করবে যাতে আপনি আপনার প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকা সম্পর্কে কিছু মাথায় না আনেন।
নিজের যত্ন নিন: নিজের দেহের যত্ন নিন । প্রেমের ব্যর্থতায় সবসময় বিষন্ন থাকবেন না। স্বাভাবিক থাকুন। পোশাক-আশাকেও যত্নবান হোন, শপিং করুন, সেলুন/পার্লারে যান। নিজেকে দেখতেই আপনার ভালো লাগবে।
পুরনো স্মৃতি ঘাটা বন্ধ করুন: যে পার্কে, রেস্তোঁরায় বা কলেজ ইউনিভার্সিটির যেসব জায়গায় বসে গল্প করতেন বা যেখানে দেখা করতেন সেখানে বেশ কিছুদিন না যাওয়ার চেষ্টা করুন । যেসব গান, কবিতা প্রেম বিরহের সঙ্গে সম্পর্কিত তা শুনা ও পড়া থেকে বিরত থাকুন। ভালোবাসার মানুষের দেয়া চিঠি, চিরকুট বা কবিতা, গল্প বা ছবি দেখবেন না। মোবাইল থেকে তার নম্বর ও এসএমএস মুছে দিন।
বাংলাদেশী একজন মানসিক চিকিৎসক বলেছেন, ‘সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে, কোনো সান্ত্বনা মানুষের ভালো লাগে না। তবে সময় এমন এক অদ্ভুত জিনিস যা স্বভাবতই অনেক স্মৃতি মুছে দিবে। এজন্যই নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। পরিবার ও বন্ধুদের উচিত তাকে কাছে টেনে নেওয়া যেন সে ভেঙে না পড়ে।’
0 comments:
Post a Comment