মন ভাঙ্গার কষ্ট ......

আজ আপনাদের সাথে একটি ভাবনা শেয়ার করব, এই ভাবনাটি আমাকে অনেক কষ্ট দেয় আর ভাবনাটি হচ্ছে একটি সম্পর্ক হয়ে ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এটি আমাকে এতই কষ্ট দেয় যে, একটি শক্তিশালী বিষ পানে মৃত্যুর যন্ত্রনার থেকেও অনেক কষ্টের!!
অসুস্থ্য হয়ে মানুষ মৃত্যুর কাছাকাছি গেলে তার মৃত্যুর অভিজ্ঞতা হয়, একে বলা হয় Experience of death. আমি মরণের দরজা থেকে ফিরে এসেছি; প্রতিটি মানুষ যারা মৃত্যুর দরজা ছুঁই ছুই করে ফিরে এসেছে তারা প্রায় সাবাই একটা গোল পাইপ বা সুড়োঙ্গের ভিতর প্রবেশ করে এবং অনেক ভয়-ভীতি নিয়ে ঐ পথ ধরে চলতে থাকে। মাঝে মাঝে প্রখর আলোয় উজ্জল হয়ে উঠে আবার কখনো গভীর অন্ধকার নেমে আসে, মনে হবে এই বুঝি আমাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে গুহার ভিতর ফেললো!! অজানা ভীতি আর আসঙ্খা নিয়ে পাহাড়ের গুহার ভিতর অন্ধকার পথে একাকী যেন হারিয়ে গেছি সাপ বিচ্ছু আর হাজার সব বিষাক্ত হিংস্র প্রাণীর মাঝে……..
      অবশেষে জ্ঞান হারিয়ে স্বর্গের পরিদের সাথে চলতে থাকে আনন্দ, এই হলো মৃত্যুগুহ্য থেকে ফিরে আসার অমর এক বাস্তব চিত্র।। আবার এতে প্রচুর কষ্টও আছে যাদের অপারেশন হয়েছে তারা বুঝবেন…তাহলে ব্যাখ্যা করেই বলি… আর হ্যাঁ ভুলে যাবেন না আমি কী নিয়ে কথা বলছিলাম, বিষয়টা ”মন ভাঙ্গার কষ্ট”। তাহলে আসুন জানতে চেষ্টা করি.....
প্রকৃতপক্ষে যাদের অপারেশন করা হয় তারা সবকিছু বুঝতে পারে কিন্তু কিছুই বলতে পারেনা আর তার সারা শরীর অবশ হয়ে যায় ফলে সে না পারে নড়তে না পারে কিছু বলতে, যাদের স্মৃতিশক্তি ভালো তারা এটা বর্ণনা করতে পারেন কিন্তু যাদের স্মৃতি ভীতির মধ্যে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে তাদের কিছুই মনে থাকে না আর থাকলেও মেমোরীর ঐ অংশটা বিকল হয়ে যায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যদি ভয়কে জয় করে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করতে পারেন তবে পরে সব বলতে পারবেন। আমার যখন হার্ট/হৃদ যন্ত্রকে তাঁরা হাত দিয়ে নাড়ছিলেন আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল আর যখন তাতে ইনজেকশন দিয়ে আঘাত করা হচ্ছিল তখন এত কষ্ট পাচ্ছিলাম যে ভাষায় বর্ণনা করা য়ায় না। ধরুণ আপনি সুস্থ্য মানুষ আপনার শরীরের মধ্যে এমন একটা যন্ত্র যেটা ছাড়া প্র্রত্যেক মানুষ অচল, আপনার বুকের হাড় কেটে সেই জীবন ধারণকারী হৃদপিন্ডকে হাত দ্বারা স্পর্শ করা হচ্ছে.. এদিক ওদিক নড়াচড়া করা হচ্ছে এবং হৃদ এর সাথে সম্পৃক্ত নালী বা নার্ভগুলোকে মুখবদ্ধ করে অন্য কোন কিছুর সাথে সংযোগ করে দেয়া হচ্ছে বলুনতো কতটুকু কষ্ট অনুভব করবেন??
এখন বলুনতো আপনি না মরেও আপনার হৃদপিন্ডকে আপনার শরীর থেকে পৃথক করার উপক্রম চলছে… তার মানে আপনি এর থেকেও কী মরণের কষ্ট বেশী মনে করবেন? যেখানে মানুষের প্রাণ বাস করে সেটাতেই ৬ঘন্টা কাজ করা আর ঐ ৬ঘন্টা সময় পযন্তু ঐ ব্যক্তির বেচে থাকা এটা কী মৃতুর অভিজ্ঞতা নয়?

ঠিক সেই কষ্টের মতোই কষ্টে জর‌্জরিত হই আমি, হওয়া সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে!! তাইতো নতুন কোন সম্পর্ক করতে পারিনা অতি সহজে; কিন্তু মানুষ আমাকে অতি সহজেই আপন করে নেয় বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলে অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে। এমনই দুটি সম্পর্ক হয়েছিল আমার জীবনে, এসেছিল মনের মত বন্ধু। না ছেলে বন্ধুর কথা বলছি না বলছি মেয়ে বন্ধুর কথা, য়াদের সাথে সব শেয়ার করতে পারতাম। আর কেন জানি তাদের সাথে সবকিছু শেয়ার করতে অনেক ভাল লাগতো, এটা হওয়ার পিছনে একটা কারণও আছে। আমার কেন জানি মনে হইতো আমরা ছেলেরা একে অপরকে খুব সহজে বুঝতে পারি কিন্তু আমাদের অপজিট লিঙ্গে যারা আছে তাদেরকে জানার ও বুঝার কৌতুহল মনে চেপে বসেছিল। তাই অবলিলায় মিশতাম তাদের সাথে, একটি বিষয় আমার জানা ছিল না যে নারী ময়ূরের ন্যায়…..
যার গায়ের রং নীল, আর এই রং ঈর্ষার প্রতীক, চোখ লাল যা কামনার প্রতীক। নারীর অন্তরে থাকে ঈর্ষা আর নয়নে কামনা। নারী হলো আনন্দ সহচরী মহামায়া বিশ্বাস ঘাতিনী সৃষ্টি ও স্থিতির জননী আবার লয়-বিলয়ের মহা শক্তির সারথী। এই নারীর সাথে সাজ্ঞ সৃষ্টি অত সহজ কাজ নয়। না বুঝে তাদের সাথে মিশলে স্বমূলে বিনাস করে ছাড়বে।।
ছদ্ম নাম শান্তা আর সাথী। আমি ওদের সাথে আগবাড়িয়ে বন্ধুত্ব করতে যাইনি ওরাই আমাকে বন্ধু আর প্রেমিক করে নিয়েছিল। আমার নিজ বুকে হাত রেখে একটা সত্য কথা বলছি আজ পযর্ন্ত কোন নারীর সতিত্ব নষ্টে আমার চরিত্রে এতটুকু কালি লাগতে দেইনি। শান্তার সাথে আমার বন্ধুত্ব হওয়ার পর ওর সাথে আমার কথা ছিল আমরা ভাল বন্ধু হব। কেউ কাউকে কোনদিন ভূল বুঝব না। সে মহিলা স্কুল এন্ড কলেজ এ পড়েছে, তেমন ভাবে কোন ছেলের সাথে মিশা হয়নি তাই আমাকে ভাল বন্ধু করবে!!
একদিন আমার এক রিলেটিভ এর বাড়িতে গেছি সবাই TV দেখছি, এমন সময় শান্তা আমাকে মিষ্টি খাওয়ার নামে আমার ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে আমাকে চুমু দিয়েছিল। সেই থেকেই ও আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করতো আর আমিও মিশতে থাকলাম। ভালই কাটছিল আমাদের বন্ধুত্বের ভাবটা।।
একদিন আমি ওয়াজ মাহফিল এ আড্ডা মারছি হঠাৎ রাত ৯টার দিকে শান্তা আমাকে ফোন করে এবং ওদের বাড়িতে আসতে বলে। আমিও ভাবলাম অনেক দিন ধরে দেখা নাই, যাই কথা হবে সারা রাত সবাই মিলে মজা করা যাবে!! মনে তরুণত্বের ভাব আর একটু রোমান্সের জন্য ছুটে গেলাম। রাত ১১:৩০ মি. এ পৌচালাম ওদের বাড়িতে কিন্তু আমাকে এমন ভাবে বাড়ির ভিতর নেয়া হলো যে আমি মহা অপরাধ কাজ করতে এসেছি।। অনেক কথায় হলো তারপরও কেন জানি ওকে আমার অন্য ধরণের লাগলো কারণ ওর বাবা-মা বাড়িতে ছিল না। ভাই আর বান্ধবী ছিল। ওরা কিছু সময় পর আমাদের রেখে চলে গেল, শান্তাও ওদের পিছু পিছু গেল। অল্প সময় বাদে আমার কাছে ফিরে এল। ঘরের দরজা খিড়কী লাগিয়ে আটকে দিল এবং আমাকে বলল আমাদের হাতে সময় খুব কম!!
   অনেক ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে, প্রথমে ও আমকে কিভাবে ফোন করেছিল,, ওর সাথে প্রথম কেমন করে দেখা হয়েছিল, কেমন করে প্রথম আলিঙ্গন হলো ইত্যাদি ইত্যদি।। তারমধ্যে একটা ঘটনা হলো একদিন আমি ওদের বাড়িতে গেছি ও আমার হাতে কিউটিস দিয়ে দিল কিন্তু আমি কিছু সময় পর তুলে ফেললাম। এই কারণে সে বলল হাতের কিউটিস এর মত আমর সব স্মৃতিও উঠে ফেল! আমি বললাম কেন? সে বলল ছেলেরাতো তাই করে।। এখন আমার মনে অনেক ভয়, সে মাঝে মাঝে বলতো আমাকে বিয়ে করবে?? আজ যদি সত্যি একটা দূর ঘটনা ঘটিয়ে দেয়,, তাই বললাম আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। তুমি যা চাও না তা আমি করবো না কিন্তু সবার কাছে আমাকে খারাপ করো না। বলল ঠিক আছে একটা কথা মানতে হবে, আমাকে কিস্ করা ছাড়া অন্য কিছু করা যাবে না। যদি তুমি আমার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন কর তবে তুমি ঘর থেকে বের হবে আর আমি আত্মহত্যা করব!!
দুজন এক সাথে জড়িয়ে গেলাম, মাঘ মাস শেষ হতে চলেছে এখনও ঠান্ডা পুরো য়ায়নি কিন্তু আমরা যেন গরমে সিদ্ধ হযে যাচ্ছি। হালকা করে ফ্যান ছাড়লাম বিদ্যুৎ চলে গেল। আমি ওকে হ্যাজকা টানে বুকে জড়িয়ে নিলাম। ওর বুকে মুখ রেখে শরীরের ঘ্রাণ নিচ্ছি, চারেদিক আলোকিত করে বিদ্যুৎ এর বাতি জলে উঠলো। চমৎকার করে হাসি দিয়ে আমার হাত ধরে আমাকে আয়নার সামনে নিয়ে গেল আর আমাকে বলল আমাদের কেমন মানিয়েছে? আমি না দেখেই মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর করলাম।
যে নারী আমাকে প্রতিজ্ঞা করে নিয়েছিল কিস্ ছাড়া কিছুই করা যাবে না সেই এক এক করে তার সব আকর্ষণ তুলে ধরলো। ওর সারা শরীরের ছোয়াঁয় এক অন্য রকম শিহরণ তুলে দিয়েছিল, আমায় বাধ্য করেছিল ওর সাথে মধুর মিলনে আবদ্য করতে কিন্তু আমি আমার ধয্য দিয়ে আমার দেয়া ওয়াদা বজায় রেখেছিলাম।।
আমার যদি খারাপ হওয়ার ইচ্ছা থাকতো তবে আমি সেইদিনই আমার চরিত্রের মূলধন নষ্ট করতে পারতাম!! এত সবের পরও আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভাল রাখতে আগ্রহী আছি।। আর সে আমার সাথে যোগাযোগ রাখাতো দূরের কথা এখন আমার সাথে কথাও বলে না। এখন আপনারা মতামত দিন সেই সময় আমার কি করা উচিৎ ছিল?? তাহলে সে আমার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতো??? কি করলে ভবিষ্যতে আমাকে এ্যাভোয়েট করতে পারতো না??? আমি যদি ওর সাথে সেক্স করতাম তা হলে? নাকি নোংরা ফটো তুলে রাখলে?? 
Please আপনাদের মতামত দিবেন………….  

খুব বেশী দিনের পরিচয় নয়, তবে সবার থেকে আপন আর প্রিয়জন হয়ে সাথী আমার জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছিল! একদিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল বেলা আমার বান্ধুবী ডাকলো্ এবং একটি মেয়ের সাথে পরিচয় করে দিয়ে বলল ওর মনটা ভিষণ খারাপ তাই বাইরে নিয়ে আসলাম তোর সাথে কথা বললে হয়তো ওর ভাল লাগবে, আমি জানি তুমি এতে সাহায্য করবে যাতে ওর মন ভাল হয়ে যায় তোমার সুন্দর কথার দ্বারা এবং তারও ভূলতে সহজ হবে!! আমি বললাম: মানে? না কিছু না পরে বলব।
অনেক কথায় হলো ১ম দিন, বন্ধুবী বলল: আমার সাথেই থাকে, এক বছর আগে দেখেছিলে। ওর খালাতো ভাইকে ও ভালবাসতো কিন্তু ওর খালাতো ভাই তাকে ভালোবসে না এটা জানতে পেরে ওর মন ভিষণ খারাপ। তুমি একটু ওকে বুঝিয়ে মন ভালো করার চেষ্টা করো।
এমনি করে বেশ কিছুদিন কেটে গেল এখন প্রায় দিনে দুইবার দেখা হয়। একদিন রাতে ওর ভিষণ মন খারাপ, আমি বললাম কেন? সে বললো একবার যদি তার কথা শুনতে পারতাম! আমি বললাম নাম্বারটা দাও আমি কথা বলব আর তুমি শুনবে। তাই করলো কিন্তু সমস্যা হলো তখন যখন লাইন কেটে দিলাম, সাথী আর্ত্যনাদ করে কাঁদতে লাগলো।। আমার বান্ধুবী বলে তুমি ওকে কিছু বলেছো, কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না যে আমি ওকে কিছুই বলিনি।
পরের দিন সাথী আমাকে ডাকলো বন্ধবীও ছিল এবং আমাকে বলল আপনার কাছে কত টাকা আছে? বললাম কেন? বলুন না! আছে কিছু টাকা আছে। চলুন বিয়ে করব। কোথায়? কোটে! তুমি কি আমাকে ভালবাসো যে আমাকে বিয়ে করবে? আপনাকে আমি ভালবাসি কিনা এটা কি মুখ খুলে বলতে হবে!! বিয়ে করেন, অনেক ভালবাসবো। বন্ধবী বলল এখন বিয়ে করতে পারবে না। সাথী খুব রেগে গেল বলল আমি তোকে বলেছি?
এরই মধ্যে আমার বন্ধু হিমেল ছোট ভাই মেহেদী ও দুই বড় ভাই রবি, রনি আসলেন। আমি তাদেরকে ঘটনা খুলে বললাম; হিমেল অনেক বুঝাতে চেষ্টা করলো কিন্তু সাথী বুঝতে চায় না। অবশেষে আমি বললাম ঠিক আছে আমি বিয়ে করবো কিন্তু কথাটা দুই বছর গোপন রাখতে হবে। সাথী এবার বলে আমার খরচ দিতে হবে। বললাম দু:খিত এটা আমি পারবো না। এবার বলে আমার মাথায় হাত রেখে বলুন, দিব্যি কাটুন, আপনি আমাকে কবে বিয়ে করবেন? আমি তাই করলাম হাত রেখে বললাম ২০১৩ সালে বিয়ে করব।
এখন আনন্দেই দিন কাটতে লাগলো কিন্তু আমার মনে বার বার একটি কষ্টের উদয় হয়। সাথী আমাকে ভালবাসি কথাটি কখনো বলে না। একদিন সাথী বাড়িতে যাবে আমাকে বলে ট্রেনে তুলে দিতে, আমি না করলাম। না করার পর কেন জানি আনচান লাগছে তাই দুটো গোলাপ নিয়ে ছুটে গেলাম। এটায় ছিল আমার জীবনে প্রথম কেনা গোলাপ ফুল যা কিনা আমার ভালবাসার মানুষকে দিব। সাথীকে দেখে আমার মনটা চাঙ্গা হয়ে গেল এত সুন্দর করে সেজে ওকে এর আগে কখনো দেখিনি। সাথীকে এটা বুঝতে দিলাম না বরং বললাম এত সুন্দর করে সাজার কি আছে! কি একটা কথা প্রসঙ্গ নিয়ে মারার জন্য হাত তুললাম কিন্তু লাগলো না। সাথীকে ফুল দুটো হাতে দিয়ে বললাম আমার তরফ থেকে তোমার জন্য প্রথম উপহার। ভালো থেকো আর একটা কথা যদি তুমি আমাকে বলতে পার ভালবাসি তবে ফোন করো! বলতে না পারলে ফোন করো না আমায়। বলেই দেরি করলাম না, মন ভিষণ খারাপ করে স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করলাম।
পিছন থেকে সাথী দৌড়ে আসছিল, ট্রেনের প্রতিটি কামরা থেকে আমাকে বলা হচ্ছিল ভাই দাঁড়ান আপনাকে ফুল দিতে ছুটে আসছে।। আমি হাটতেই থাকি, পিছন থেকে আমার কাদে হাত দিয়ে বলল আপনি খুব রাগ করেছেন তাই না? রাগ করবো কেন, তুমি কি আমাকে ফুল দুটো ফিরিয়ে দিবে! বলে না আপনাকে ফিরিয়ে দিতে আসিনি। আচ্ছা যাও ট্রেন ছাড়ার সময় হয়েছে। মনে রেখো আমার কথাটি বলতে পারলেই ফোন করো।
ফিরে আসলাম সাথীর ফোন পাচ্ছি না কারণ ও আমাকে এতই ফোন করতো যা বলার নয়। তাই এই অল্প সময়ের মধ্যেই মনে হতে থাকলো। যাই হোক আমি ফোন করলাম না এরই মধ্যে ফোন আসলো, আমার মনে তখন কত আনন্দ এই আনন্দ যেন আর ফুরোতে চায় না। তাই কয়েকবার ফোন ধরা হলো না, ফোন রিসিভ করলেই আমার কাঙ্খিত কথাটি শুনতে পারবো, ওহ কি যে মজা লাগছে!! আর ফোন যখন রিসিভ করলাম তখন সে বলতে থকলো আমার ফোনে টাকা ছিল না, তাই ফোন করতে পারিনি, এখনও বাড়িতে পৌছাতে ঘন্টা সময় লাগবে। আপনাকে ফোন না করে আমি থাকতে পারবো না বারবার ফোন করবো একশবার ফোন করবো। ভাল থাকবেন রাখি বাড়িতে পৌছে ফোন করবো।
তাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন রচনা করতে শুরু করলাম। চিন্তা করলাম আমি তো একজনকে অনেক ভালবাসি সে আমাকে ভালবাসে কিনা আজও জানতে পারলাম না। সাথীও একজনকে ভালবেসেছে ঠিক আমার মতই। সেও তাকে ভূলে যাবার জন্য আমার সাথে মিশেছে আর আমিও একজনকে মনের ভিতর থেকে দূর করার জন্য, সাথীর কাছ থেকে ভালবাসি কথাটা শুনার জন্য উদ্বগ্রিব হয়েছি। যাক একদিন না একদিন সে বলবেই।। আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে তোমাকে অনেক ভালবাসি। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না। তাই সাথীকে আমার অনেক ভালবাসতে হবে, হ্যা অনেক ভালবাসবো।
পদ্মার পাড়ে বসে একদিন গল্প করছি হঠাৎ তার হাতে আমি চিমটি কাটলাম, অনেক জরে কাটলাম কিন্তু তার অনুভূতি এই যে কিছুই হচ্ছে না। বললাম কষ্ট পাচ্ছ না। সাথী বলল কষ্ট পাব কেন আপনার দেয়া কষ্ট কী কষ্টের! এমনি করে অনেক সময় এক সাথে থাকতাম মেলায় যেতাম, আড্ডা মারতাম। কত আনন্দেই না কাটতে লাগলো এই সময়গুলো। বেশ কিছু দিন এমনি করেই কেটে গেল সমস্যাটা হলো সে দিন, যে দিন সে আমার কাছ থেকে দরখাস্ত লিখে নিয়ে হেলথ্ এ আবেদন করেছিল। সেদিন সাথীর সাথে এক রিক্সায় করে আবার বৃষ্টির মধ্যে কোথায় কোথায় না গিয়েছি! মহিলা কলেজ, জাতীয় কলেজ হতে হাদির মোড় থেকে তেরো খাদিয়া পযর্ন্তু অবশেষে Health এ আবেদন পত্র জমা দিলাম। আমি ওকে বললাম কিছুদিন পর আমি ঢাকা চলে যাব আমাকে আজ বিকেলে সময় দাও এক সাথে একটু ঘুরবো। সাথীর মুখ থেকে ভালবাসি কথাটি শুনার আকাঙ্খা দুর করতে পারিনি তাই আজ একটু এক সাথে দুজনে কোথাও বসে কথা বলি কিন্তু তাকে কিছুতেই রাজি করাতে পারলাম না। অবশেষে বললাম তুমি 3D কি জানো? চলো এক সাথে 3D Film এর কিছু অংশ দেখবো অনেক মজার। শেষ পযর্ন্তু আমি ব্যর্থ হলাম। ওকে বাসায় এগিয়ে দিয়ে ফিরে এলাম।
রুমে ভিষণ একাকী আর খারাপও লাগছিল, এমন সময় সাথী ফোন করলো বললো খাইছেন? খেয়ে নিন। এই বলে ফোন রেখে দিল। আমি বান্ধবীকে বললাম সাথীকে একটু বল না আমার সাথে বের হতে!! বান্ধবী একটু অসুস্থ্য ছিল কথা শুনে কেন যেন বিরক্ত লাগলো তাই ঝগড়া করে লাইন কেটে দিলাম। আবার সাথী ফোন করেছে এবার আর মেজাজ শান্ত রাখতে পারলাম না। যা বলার নয় তাই বললাম অনেক ঝগড়া করে লাইন কেটে দিলাম। রাতে বান্ধবী ফোন করলে ওকে হুমকি দেই তোর বাবাকে সব বলবো। কারণ ওরা যদি রাগ না দেখাতো তবে হয়তো আমার মন শান্ত হয়ে যেত কিন্তু সেও তো কম বলেনি!! বাবার কথা বলেছিলাম আসলে এমনিতেই আজ অবদি তার বাবাকে কিছুই জানাই নি জাস্ট সে ভয় পাবে এটাই। এই ভয়ে সে তার প্রেমিক এর সাথে কথা বলে আমাকে ওর প্রেমিক ফোন করে এবং অনেক বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বলে যাতাই মাতাই হুমকি দেয়।
আমার অনেক ভয় হতো সাথী আবার কিছু না করে বসে, তাই ওর বাবাকে ফোন করলাম। ওর বাবা আমাকে বিশ্বাস আর অনেক ভালবাসেন বলে আমার মনে হয় তাই বললাম সাথীকে কয়েকদিন এর জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে ওর মনটা ভিষণ খারাপ, বাড়িতে কয়েকদিন থাকলে হয়তো ভালো লাগবে! আর বললাম ও ‘এসএম’ কে খুব ভালবাসে যদি পারেন ওদের মিলিয়ে দেন।।
এটাই ছিল আমার সব থেকে বড় অপরাধ, আর একটা বড় অপরাত হলো যে আমি এগুলোকে লিখিত ভাষায় প্রকাশ করি। তাই তারা এখন আমার সাথে কুকুরের মত আচরণ করে অথচ তাদের ভূল, সব অপরাধ আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি নিজেও ক্ষমা চেয়েছি।।
এই যে ঘটনাগুলো বললাম আজ থেকে প্রায় এক বছর আগের। আজও সাথীকে ভূলতে পারিনা কারণ ভালবেসেছি তাকে মন থেকে, তার জন্য ছুটে যাই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। যেই মেয়েটিকে ভূলে থাকার জন্য যাকে ভালবাসলাম, না পারলাম সেই মেয়েটিকে ভূলতে না পারলাম তাকে ভালবাসায় বেধে রাখতে!!
একটি কথা অনেক পরে শুনেছি আমার বন্ধু হিমেল, ওর এক বান্ধবীকে রাতে ওর ওখানে রাখতে চাইছিল; তাই আমার বান্ধবী বলেছিল এটা সত্যি, না তোমার বন্ধুর কৌশল।। আজ র্পযন্তু আমি কিন্তু সত্যি জানিনা যে, আমি একজন কৌশলী!!!

জনৈক লেখক বলেন; বন্ধুত্ব ভালোবাসায় অনেক তফাৎ আছে, কিন্তু ঝট্করিয়া সে তফাৎ ধরা যায় না। বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালোবাসা পোশাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালোবাসার পোশাক একটু ছেঁড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেঁড়া তোলপাড়া সয়, কিন্তু ভালোবাসা তাহা সয় না। আমাদের ভালোবাসার পাত্র হীন প্রমোদে লিপ্ত হইলে আমাদের প্রাণে বাজে, কিন্তু বন্ধুর সম্বন্ধে তাহা খাটে না; এমন-কি, আমরা যখন বিলাসপ্রমোদে মত্ত হইয়াছি তখন আমরা চাই যে, আমাদের বন্ধুও তাহাতে যোগ দিক! প্রেমের পাত্র আমাদের সৌন্দর্যের আদর্শ হইয়া থাক্এই আমাদের ইচ্ছাআর, বন্ধু আমাদেরই মত দোষে গুণে জড়িত মর্ত্যের মানুষ হইয়া থাক্এই আমাদের চাওয়া। আমাদের ডান হাতে বাম হাতে বন্ধুত্ব। আমরা বন্ধুর নিকট হইতে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই আর সেই জন্যই বন্ধুকে চাই। কিন্তু ভালোবাসার স্থলে আমরা সর্বপ্রথমে ভালোবাসার পাত্রকেই চাই তাহাকে সর্বতোভাবে পাইতে চাই বলিয়াই তাহার নিকট হইতে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সঙ্গ চাই। কিছুই না পাই যদি, তবুও তাহাকে ভালোবাসি। ভালোবাসায় তাহাকেই আমি চাই, বন্ধুত্বে তাহার কিয়দংশ চাই। বন্ধুত্ব বলি তে তিনটি পদার্থ বুঝায়। দুই জন ব্যক্তি একটি জগৎ। অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগৎ নাই। দুই জনেই দুই জনের জগৎ। অতএব বন্ধুত্ব অর্থে দুই এবং তিন, প্রেম অর্থে এক এবং দুই।
অনেকে বলিয়া থাকেন বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিবর্তিত হইয়া ভালোবাসায় উপনীত হইতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নামিয়া অবশেষে বন্ধুত্বে আসিয়া ঠেকিতে পারে না। একবার যাহাকে ভালোবাসিয়াছি , হয় তাহাকে ভালোবাসিব নয় ভালোবাসিব না; কিন্তু একবার যাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব হইয়াছে, ক্রমে তাহার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপিত হইতে আটক নাই। অর্থাৎ বন্ধুত্বের উঠিবার নামিবার স্থান আছে। কারণ, সে সমস্ত স্থান আটক করিয়া থাকে না। কিন্তু ভালোবাসার উন্নতি অবনতির স্থান নাই। যখন সে থাকে তখন সে সমস্ত স্থান জুড়িয়া থাকে, নয় সে থাকে না। যখন সে দেখে তাহার অধিকার হ্রাস হইয়া আসিতেছে তখন সে বন্ধুত্বের ক্ষুদ্র স্থানটুকু অধিকার করিয়া থাকিতে চায় না। যে রাজা ছিল সে ফকির হইতে রাজি আছে, কিন্তু করদ জায়গীরদার হইয়া থাকিবে কিরূপে? হয় রাজত্ব নয় ফকিরী, ইহার মধ্যে তাহার দাঁড়াইবার স্থান নাই। ইহা ছাড়া আর একটা কথা আছেপ্রেম মন্দির বন্ধুত্ব বাসস্থান। মন্দির হইতে যখন দেবতা চলিয়া যায় তখন সে আর বাসস্থানের কাজে লাগিতে পারে না, কিন্তু বাসস্থানে দেবতা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
কেমন করে আমার বন্ধুদের বুঝাবো তাদেরকে আমি অনেক ভালবাসি আর তাদের অধিকাংশই আমার এই ভালোবাসাকে ঠুংক মনে করে বন্ধুত্বের অমর্যাদা করে।।

Share on Google Plus

About Zobayer Ahmmed

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment

0 comments:

Post a Comment