আমি খুব ভালো রাইটার না তাই হয়তো সব কথা বুঝিয়ে বলতে পারবো না। কছু
হতাস প্রেমিকা বা প্রেমিকের জন্যই এই পোস্ট।২০১৬সালের প্রথম দিকের কথা,
নতুন প্রেমে পরেছিলাম সেই থেকে গতো দু মাস আগেও আমার সম্পর্কটা কন্টিনিউ
ছিল, জীবনের সব কিছু দিয়ে তাকে ভালোবেসেছিলাম, আজও বাসি। প্রথম দিকে
সম্পর্কটা অনেক মধুর ছিল, কিন্তু বাস্তব যখন সামনে আসলো আস্তে আস্তে
সম্পর্কে ভাটা পরে। এক পর্যায়ে শত চেস্টা করেও আর ধরে রাখতে পারলাম না।
যদি আমরা বিভিন্ন সিনেমার দিকে খেয়াল করি তাহলে দেখবো। নায়ক গরিব কিন্তু
নায়িকা ধনী, তবে শেষের দিকে দেখব নায়ক কোন না কোন ধনী হয়ে গেছে তখন
নায়িকাকে বিয়ে করতে পারছে। তাহলে কি বুঝলাম ভালোবাসা সমানে সমানে হয়।
সিনেমার উদাহরন দিলাম এই জন্য যে, সিনেমাতো বাস্তব জীবনের কোন অংশ নিয়েই
হয়।
আসলে জীবনে প্রেম যখন আসে তখন পৃথিবীর কোন কিছুই আর ভালো লাগে
না প্রিয় মানুষটিকে ছাড়া, নিজের জীবন থেকে নেওয়া। বন্ধু বান্ধব যতই প্রিয়
মানুষটিকে খারাপ বলুক না কেন, এক কান দিয়ে যায় আর অন্য কান দিয়ে বের হয়।
অনেক সময় আমারা নিজের মা বাবার কথাও শুনি না, যেমন আমি। কিন্তু রিলেশন যখন
ব্রেক হয় তখন বন্ধু বান্ধব আর নিজের পরিবারের কথাই বেশি মনে পরে, সব সময়
ইচ্ছে করে তাদের সাথে সময় কাটাতে। নিজের মধ্যে কষ্ট লাগে কেন নিজের
পরিবারের কথা শুনলাম না। নিজের পরিবারকে কষ্ট দেই একটা কথাই ভেবে সেটি হলো,
আমরা যতই খারাপ কাজ করি না কেন তারাতো আমাদের ছেড়ে যাবে না, শত ভুল হলেও
আমাদের ক্ষমা করে দেব,। আর এই সুযোগের সৎব্যাবহার করি। এখন আমার প্রশ্ন,
কেন সামান্য ভুল হলে প্রেমিক বা প্রেমিকা আমাদের ক্ষমা করতে পারে না, কেন
পরিবারের মতো আবার আপন করতে পারে না? উত্তরটা আমি দিচ্ছি, নিজের পরিবারই
একমাত্র যায়গা যারা আমাদের নি:শার্থ ভাবে ভালোবাসে। তাহকি বলবো, যখন আমারা
যখন প্রেম করি তখন কিছুটা হলেও স্বার্থ কাজ করে? উত্তরটা আপনারা ভেবে বের
করুন। তাই একটা কথাই বলব, মা বাবা সব সময়ই আমাদের মঙ্গল কামনা করে, তাই
নতুন করে রিলেশন করার আগে একটু চিন্তা করুন মা বাবার কথা। কি করতে যাচ্ছি
আর কি করা উ্চিৎ।
আমার দেখামতে বেশিরভাগ লাভ মেরেজের শেষ পরিনতি
ডিভর্স নয়তো সারা বছর সংসারে অশান্তি। তবে তার পিছনে কি এমন কারন? আমরা তো
একে অপরকে ভালোবেসেই বিয়ে করে ছিলাম, সব সময়তো এটাই বলতাম, " তুমি আমার
জান, তুমি আমার পরান, তোমার জন্য মরতে পারি" তবে সংসার জীবনে কেন আমরা একে
অপরকে বলি তুমি আমার বিষ? একটু ঠান্ডা মথায় চিন্তা করে দেখুনতো। তবে আমি যে
কারনগুলো খুজে পাই তা এবার বলছি- প্রথম কারন, বিশ্বাসের অভাব। ব্যখ্যা-
আমারা যখন প্রেম করি তখন একে অপরের জন্য অনেক কিছুই করি, মেয়েদের ক্ষেত্রে,
স্কুল, কলেজ বা টিউশনির কথা বলে একে অপরের সাথে দেখা করি, মা বাবার চোখ
ফাকি দিয়ে রাতের আধারে ফোন করি, মা বাবাকে ঠকিয়ে অনেক অপকর্মেও লিপ্ত হই,
এমনকি অন্যের আমানতও খেয়ানত করি। ছেলেদের খেত্রেও ঠিক এমন হয়। যখন আমরা
প্রেম করি তখন এইসব অপকর্মকে আমরা অনেক উপভোগ করি বটে, মনে মনে ভাবি ওহ কি
প্রেম, আমার জন্য সব করতে পারে। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন এই
অপকর্মগুলো ভবিষ্যত জীবনে হুমকি হয়ে দাড়াবে? যে মেয়ে বা ছেলে বিয়ের আগে মা
বাবাকে ঠকিয়ে এতো গুলো অপকর্ম করে তাকে কি করে বিয়ের পরে বিশ্বাস করা যায়?
আমাকে ভালোবেসে যে এতো খারাপ কাজ করতে পারে সে অন্যকে ভালোবেসে তো এর
থেকেও বেশি খারাপ কাজ করতে পারবে। তাই সংসার জীবনে একে অপরের প্রতি এই
খুতখুতে মন ভাব কাজ করে, আর সুখ তখনই জানলা দিয়ে পালায়। ২য় কারন বলব, কব্জা
করার প্রবনতা, অনেক ছেলে বা মেয়ে বিয়ের আগেই প্রিয় মানুষটিকে কন্ট্রল করার
চেস্টা করে, ভাবে আমি যা বলবো সে তাই ই করবে। বিয়ের আগে প্রেমের তাড়নায়
অন্ধ হয়ে অনেকে তা মেনেও নেয়, কিন্তু বিয়ের পরে নিজেকে স্বাধীন ভাবায় সেই
কাজ গুলো আর করতে পারে না, তখন সুরু হয় মান অভিমান, শেষের দিকে বড় রুপ নেয়।
নিত্যদিন ঝগড় বিবাদ লেগেই থাকে। ৩য় কারন, সেকরিফাইজ মেনটালিটির অভাব, যা
একটা সংসার সুখি করার মূল মন্ত্র। বিয়ের পরে সব সময় মাথার মধ্যে কিছু
প্রশ্ন থাকে, সেটি হলো বিয়ের আগে ও এটা করতো ওটা করতে এখন কেন করে না? আমি
মনে হয় পরানো হয়ে গেছি, আমি তার জন্য জীবনে এতো কিছু করলাম আজ কেন ও কিছু
করতে পারবে না? সব প্রশ্নের উত্তর একটাই, আরে বাবা বিয়ের আগে যা করেছিল তা
প্রেমে অন্ধ হয়ে করেছিল। এভাবে কারন খুজতে গেলে হাজারো কারন পাওয়া যাবে।
কাউকে ভালো লেগেছে? তাকে পেতেই হবে? নো প্রবলেম, এই দিকে আসেন।
জীবনে চলার পথে অনেক দামি জিনেসও আপনার পছন্দ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু তাই
বলে কি সব কয়টা কিনতে হবে? আপনার সামর্থ আছে তো? কিছুদিন আগে রাস্তায় চলার
সময় একটা দামি গাড়ি আমার পছন্দ হয়ে গেল, আপসোস করলাম আমার যদি টাকা থাকতো
তাহলে এমন একটা গাড়ি আমারও থাকতো। মাথা নিচু করে চলে এলাম। তবে আপনি কেন
একটি মেয়ে বা একটি ছেলেকে ভালোলাগার পর মাথা নিচু করে চলে আসতে পারেন না?
তাকে কেন পাওয়ার জন্য পাগলের মতো হয়ে যান? কেন তাকে না পেলে সুইসাইড কারার
ট্রাই করেন? আর কেনই বা গুরুত্বপূর্ন সময় অপচয় করে তার পিছনে ঘুর ঘুর
করেন?, তাহলে কি বলবো, এটা প্রেম নয়? আবেগ , আক্রশ বা লোভ বলতে পারি? হ্যা
ঠিক এটাই, একটু চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখুনতো? অনেক অনেক সময় এই লোভ থেকে
সম্পর্কও হয়ে যায় আর সেই সম্পর্ক বেশি দিন থাকে না। কারন একটাই "ভালোবাসা
অন্ধ"
কাউকে ভালোবাসার আগে একটু চিন্তা করুন, সে আপনার যোগ্য কিনা?
আপনার সব ভালো লাগাকে মূল্য দিতে পারবে কিনা? তাকে দিয়ে সংসার হবে কিনা?
আবেগে বা অন্ধ হয়ে ঘাড় নেড়ে সব হ্যা বলে দিলেই মরেছেন, কষ্ট পাওয়ার জন্য
তৈরী হয়ে নিন।
বহুদিন সম্পর্কের এক পর্যাযে হঠাৎ করে কেউ যদি আর
সম্পর্ক না রাখতে চায় তহলে তাকে যেতে দিন, কারন সে আপনার জন্য আর উপযুক্ত
নয়, প্রথম দিকে উপযুক্ত হলেও। যদি উপযুক্ত হয় তবে আবার আসবে। একটু অপেক্ষা
করুন। যে চলে যাবে সে আজ হলেও যাবে কাল হলেও যাবে, তবে বিয়ের পরে পরিবার ও
নিজের মুখে চুনকালি দিয়ে গেলে সেটা কি ভালো দেখাবে? তার থেকে বিয়ের আগেই
চলে যেতে দেওয়া মঙ্গল নয়? একটু ভেবে দেখবেন।
হঠাৎ করে ব্রেক হয়ে
গেলে অনেকে বলেন আমি তাকে দেখে নেব, কিন্তু কেন? উত্তর- সে আমার জীবন ধ্বংশ
করে দিছে আমিও তার জীবন ধ্বংশ করে দেব। একটু ভাবুন তো, কেউ কি পারে অন্যের
জীবন নস্ট করতে? যা করেছেন নিজেই আবেগে মত্ত হয়ে করেছেন। তাতে অন্যের কি
দোষ?
অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু আগেই যে বললাম আমি কবি নয়, তাই এই পর্যন্তই থাক। সংক্ষেপে কিছু কথা বলে যাই-
ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।
পৃথিবীতে সব থেকে আপনজন মা বাবা তাদের মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কোন দিন সুখি হতে পারে ন, তাই তাদের মতামত কে আগে দেখুন।
জীবন অনেক সুন্দর সুধু চোখের পানি মুছে চোখ মেলে তাকান, কারো জন্যই জীবন থেমে থাকবে না। মিছে কষ্ট পেয়ে কি লাভ বলেন?
খুব বেশি কষ্ট লাগলে আমাকে ইনবক্স করুন, আমার জীবনের কিছু ঘটনা তুলে ধরবো, আশা করি নিজের কষ্টটা খুব নগন্যই মনে হবে।
ভালো-খারাপ দু ধরনেরই মানুষই থাকবে, এটাই নিয়ম, অন্ধকার আছে বলেই বুঝতে পারি আলো এতো সুন্দর।
আর মনে প্রানে বিশ্বাস করুন, আল্লাহ আছেন তিনি সব দেখছেন। তিনি যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই করেন। কেবল অপেক্ষা করুন।
- Blogger Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)

0 comments:
Post a Comment