মানবজীবনের ভালবাসা






ভালবাসা (LOVE) একটি অনুভূতি যার মানবজীবনের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।এটা মানুষের দয়া,মায়া,আকর্ষণ এবং বাহ্যিক আচরণেরও বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।





ভালবাসা অনেক রকম হতে পারে! বন্ধুদের মধ্যে একরকম ভালবাসা আবার প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আরেক রকম ভালবাসা।কেউবা আবার শুধু যৌন চাহিদা (SEX) মেটানোর জন্য ভালবাসে। (এদিক দিয়ে ছেলেরাই বেশী ।
পরিবারের দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানেও এক ধরনের ভালবাসার বন্ধন রয়েছে। পিতা-মাতা,ভাই,বোনদের নিয়ে সবারই কমবেশী সুখের সংসার। তাই সবখানেই ভালবাসা !!!

এদিকে এই ভালবাসা মানুষের জীবনে এনেছে আমুল পরিবর্তন।কারণ এই ভালবাসা আবার মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।এই ভালবাসার জন্য মানুষ নিজের জীবনকেও উঃৎসর্গ করেছে।সম্রাট শাহজাহান তার ভালবাসার জন্য নির্মাণ করেছেন ভালবাসার শ্রেষ্ট নিদর্শন তাজমহল যা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষকে আকর্ষণ করে। এই ভালবাসার জন্যই চন্ডিদাস রজকিনীর জন্য বারো বৎসর বর্শী বেয়েছে। শিরী-ফরহাদকে নিয়ে লিখিত হয়েছে কাব্য গ্রন্হ। এছাড়াও রয়েছে দেবদাস-পার্বতী,লাইলী-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট ইত্যাদি। এদের পুরো জিবন-ই ছিল ভালবাসা নিয়ে।




ভালবাসা জন্মাতে পারে একটি মানুষের আরেকটি মানুষের প্রতি,একটি প্রাণী এমনকি একটি বস্তুর প্রতিও। যেমন অনেকেরই প্রিয় বস্তু বই। অনেকের প্রিয় ফুল,পাখি,আকাশ ইত্যাদি। (কারো কারো আবার মদ,জোয়া, এমনকি গান্জা । অতএব ভালবাসা সবার সবার প্রতি থাকতে পারে এতে কোনো সন্দেহ নাই।

ধর্মের দিক দিয়ে দেখলে ভালবাসা থাকে একজন মুসলিমের আল্লাহর প্রতি,একজন হিন্দুর ভগবানের প্রতি,একজন খ্রীষ্টানের তার যীশুর প্রতি এবং বৌদ্ধ দেবের প্রতি বৌদ্ধদের। তাই এখানেও ভালবাসা রয়েছে।

এদিকে এই ভালবাসা আবার জন্মাতে পারে বিভিন্ন কারণে! একটি দেশের প্রতি ভালবাসা জন্মাতে পারে তাদের জনগণের হাহাকার দেখে,তাদের দুঃখ দেখে।আবার একটা মানুষের ভদ্রতা,শিস্টাচার,তার নীতি দেখে মুগ্ধ হয়ে কেউ তাকে ভালবাসতে পারে। প্রায় সবকিছুর প্রতিই প্রথম মানুষকে আকর্ষিত করতে হয়।তারপর সেটা মানুষের ভালবাসায় রুপান্তরিত হয়।আমরা অনেকেই সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের ভক্ত।তাদের মধ্যে সালমান খান,শাহরুখ খান,ক্যাটরিনা,কারিনা বাংলাদেশের এ.টি.এম শামসু্‌জ্জামান,জাহিদ হাসান,ডলি জহুর ইত্যাদি (সাকিব খান+অপু বিশ্বাসও অনেকের প্রিয় । ঠিকভাবে বলতে গেলে সে ভাললাগাটা কি একদিনে হয়েছে? অবশ্যই না! তাদের অনেক চলচিত্র অভিনয় দেখে তারপর না তাদের ভক্ত হইছি।

এতক্কন ধরে শুধু ভালবাসা কি,কেমনে হয়, ভালবাসার সংকিপ্ত ধারনা পেলাম। এখন আসুন ভালবাসার পরিণতি বা ফলাফল নিয়ে কিন্ঞ্চিত আলোচনা করি।
ভালবাসার ফলাফল:সত্যিই বলতে কি ,এই ভালবাসার উপরেই দাড়িয়ে আছে পুরো দুনিয়াটাই,পুরো দেশ,পুরো সমাজ,প্রত্যেকটা মানুষ।কারণ এই ভালবাসার কারণেই এক দেশের সাথে আরেক দেশের সুসম্পর্ক।এখনো দূরে রয়েছে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ।আর যখনই ভালবাসার বন্ধনে ফাটল ধরেছে তখনি শুরু হয়েছে যুদ্ধ। আর ভালবাসার ফলে গড়ে উঠেছে একটি সুন্দর জীবন,সুন্দর সংসার। হয়েছে নতুন দিনের সুত্রপাত।




ভালবাসা নিয়ে কয়েকটা সিনেমার নাম:এই ভালবাসাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য চলচিত্র। তেমনি কয়েকটা চলচিত্র বা ছায়াছবির নাম দেয়া হল।
1.Titanic
2.Romeo and Juliet
3.The Notebook
4.Philadelphia
5.Pearl Harbor
6.50 First Dates
7.A Love Story
8.Becoming Jane

ভালবাসা নিয়ে কিছু ব্লগারদের উক্তি:

সময়একাত্তর বলেছেন: "প্রেম-ভালোবাসা চিয়্যুংগামের মতো। মিনিট দু'য়েক ভালো লাগবে। এরপর না পারবেন গিলতে, না ইচ্ছে করবে উগরে দিতে।"
আহসান২০২০ বলেছেন: প্রেম করার চেয়ে মুরগি পালন ভালো।

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ভালবাসা মহা পাপ
প্রেম তার অভিশাপ
ভালবাসার প্রতিফল
মনে ব্যথা চোখে জল।
Share on Google Plus

About Zobayer Ahmmed

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment

0 comments:

Post a Comment